দেশীয় শিল্পে গরুর মাংস আমদানির প্রভাব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গরুর মাংস আমদানি দেশীয় শিল্পে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চীনে মাসব্যাপী চলমান তদন্তের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।
অতিরিক্ত সরবরাহ ও চাহিদার ঘাটতি এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে চীনের প্রবৃদ্ধি ধীরগতিতে চলার কারণে গত কয়েক বছরে চীনে গরুর মাংসের দাম ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে চীনে গরুর মাংসের আমদানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ করে দেশটি ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজারে পরিণত হয়েছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ডিসেম্বরে দেশীয় শিল্পের প্রতিনিধিদের অনুরোধে আমদানীকৃত গরুর মাংসের ওপর অতিরিক্ত আমদানিবিরোধী তদন্ত শুরু করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় বিভিন্ন সমিতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গরুর মাংস আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘দেশীয় শিল্পের ওপর উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে’। তদন্তের মেয়াদ শুরুতে আট মাস নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন
তবে ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ তা বর্ধিত করা যেতে পারে বলে আগেই উল্লেখ করা হয়েছিল।
মন্ত্রণালয় বুধবার আরো জানায়, এই মামলাটি জটিল হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তদন্তের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি পৃথক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘তদন্তের পরিধি ও কার্যভার বিশাল।’
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, এই তদন্ত বিভিন্ন রপ্তানিকারক দেশ, গবাদি পশু খামারি ও শিল্প সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং তারা সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জমা দিয়েছে।
তদন্তকারীরা সব পক্ষের মতামত পর্যালোচনা করছেন এবং ‘রক্ষামূলক ব্যবস্থাগ্রহণ’ করার মতো অবস্থা হয়েছে কি না, সতর্কতার সঙ্গে মূল্যায়ন করছেন।
মন্তব্য করুন