সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কৃষক বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কৃষকেরা ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য লাঙ্গল ও অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে বীজতলা তৈরি ও পরির্চযা কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছে। ইরি বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকরা দলবেঁধে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যায়ও করছেন।
উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের ভূইয়ট গ্রামের কৃষক নির্মল কুমার মাহাতো জানান, এই বছরে জমিতে পানি কম থাকায় গভীর নলকূপ বা শ্যালো মেশিনে পানি দ্বারা জমিতে সেচ দিয়ে বোরো ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। গতবছরের চেয়ে এ বছরে খরচ একটু বেশি হচ্ছে। তারপরও আমরা বীজতলা তৈরি করে থাকি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমাদের এলাকায় বীজ তলা ভালো হবে আশা করি।
উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের তেলিজানা গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম আগামী ১ মাসের মধ্যেই বোরো জমিতে ধান বীজ রোপণ করা যাবে। উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের কৃষক তরুনী মাহাতো জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কিছু বীজ পেয়েছি আরও বীজ ধান ক্রয় করে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে সার ছিটিয়ে বীজতলা তৈরি করেছি। তারপরও বীজতলা তৈরির কাজে সময় দিয়ে পরির্চযা করছি। যাতে করে ভালো বীজ তৈরি হয়।
উপজেলার চান্দাইকোনা বাজারের পাইকারী বীজ ব্যবসায়ী পলাশ কুমার দত্ত জানান, এ বছরে বীজের মান খুবই ভালো। উন্নত জাতের বীজের ধানের ফলন ভালো হবে। যে কোন বীজ রোপণ কাজের জন্য প্রায় দুইমাস সময় লাগে। যেহেতু বীজ তৈরিতে ১ মাস পার হয়েছে। আশা করি আগামী ১ মাসের মধ্যে বীজ রোপণের উপযোগী হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুনউপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুর রউফ জানান, চলতি বছরে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ১ হাজার ২৩১ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে বোরো ধান চাষের জন্য প্রান্তিক পর্যায়ের ৩ হাজার ৬শ’ জন কৃষকদের নানা জাতের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ দেয়া হয়েছে। কৃষকেরা সেই বীজ দিয়ে বীজতলা তৈরি করেছে। আর বীজতলা সুন্দর ও সুস্থ হয় এই জন্য আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে উপ-সহকারীরা কৃষি কর্মকর্তাগণ প্রত্যক্ষভাবে কৃষকদের সাথে মাঠে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন