আষাঢ় মাস জুড়েই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্বল, কাদা পানি ও ময়লায় একাকার বগুড়া শহরের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট

স্টাফ রিপোর্টার : জুন মাসের ২ তারিখ থেকে চলতি মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত বগুড়ায় ৩৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। লঘুচাপের জন্য গত কয়েকদিন হলো মাঝে মাঝে আকাশ পরিস্কার হয়ে সূর্যের দেখা মিললেও হঠাৎ করেই আবারও আকাশ জুড়ে মেঘ করে নামে বৃষ্টি। এরপর তা থেমে থেমে চলতে থাকে দিনভর। মাসজুড়ে কখনো মাঝারী কখনো ভারি বৃষ্টিপাতে শহরের সাতমাথাসহ বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নামতে না পারায় সারা শহর জুরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
এতে সারা শহর কাদা পানি ও ময়লায় সয়লাব। পানি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই আবারও আষাঢ়ের বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ময়লা-কাদা পানিতে একাকার হয়ে ভোগান্তি বাড়িয়েছে নগরবাসীর। শহরজুড়ে এই অবস্থার জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী ও প্রাণীকূল। আগামী চারদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
শহরের সাতমাথার ভ্রাম্যমাণ দোকানী শরিফ উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন হলো বেচাকেনা নেই। বৃষ্টির জন্য দোকান করা যাচ্ছে না। এছাড়াও ক্রেতারাও আসছেন কম। রাস্তার পানি এবং ড্রেনে না গড়ার কারণে ময়লা ও কাদায় সয়লাব অবস্থা। এজন্য ক্রেতারা কাঁদা মাড়িয়ে দোকানে আসতে চায় না।
লাগাতার বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে ক্ষতির মধ্যে আছেন সবজি চাষীরা। সবজি ক্ষেতে বেশিদিন পানি থাকলে গাছে পচন ধরে। বলে জানান, শিবগঞ্জ এলাকার সবজি চাষি শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আরও দুই তিনদিন পানি থাকলে মরিচ, লাউ, করলা সহ অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুনসেই সাথে তারাও ক্ষতির মুখে পরবেন। সকালে শুকনা দিন দেখে যারা সন্তানদের নিয়ে স্কুলে দিয়েছেন ও অফিসে গেছেন তারা ফিরতি পথে বৃষ্টির জন্য পড়েছিলেন ভোগান্তিতে। যানবাহন স্বল্পতার কারণে অনেককেই বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে ফিরতে হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রিকশাভাড়া বেশি দিয়ে চলাচল করতে হয়ছেে শহরবাসীদের।
এমন আবহাওয়ায় বেড়েছে ছাতা ও রেইনকোর্টের চাহিদা। ঘরের কোনে পরে থাকা পুরনো ভাঙ্গা ছাতা বের করে মেরামত করে নিচ্ছেন ছাতা মেরামতের দোকানে। এতে করে ব্যস্ততা বেড়েছে এসব দোকানে। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের সূত্র জানান, আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বগুড়ায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আষাঢ় মাসের এই বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক হলেও তুলনামূলকভাবে এই মাসে কম বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত আষাঢ় মাস জুড়েই অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিছেন সূত্রটি।
মন্তব্য করুন